আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

লেবাননের বৈরুতের স্মৃতি যেনো সীতাকুণ্ডের ঘটনা

লেবাননের বৈরুতের স্মৃতি যেনো সীতাকুণ্ডের ঘটনা

লেবাননের বৈরুতের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরলো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। দুই বছর আগে রাসায়নিক বিস্ফোরণের মাধ্যমে লন্ডভণ্ড হয়ে যায় বৈরুত বন্দর। লেবাননের অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেয়া সে বিস্ফোরণ,বন্দরে রাসায়নিকের মজুদ নিয়ে সতর্কতা বাড়ে সারা বিশ্বেই অথচ এমন ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিকের কন্টেইনার রাখা হয় সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট বিস্ফোরণে কেপে ওঠে লেবাননের বৈরুত বন্দর। এতোটাই শক্তিশালী বিস্ফোরণ, যে কয়েক মাইল দূরেও ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় লেবানিজ রাজধানীর বিশাল এলাকা।

লেবাননে সেই বিস্ফোরণের রুপ যেনো সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ড। হঠাৎ করেই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় রাসায়নিকবোঝাই কন্টেইনার। ধসে পড়ে ডিপোর শেড, বহুদূরে ছিটকে পড়ে কন্টেইনারের ভগ্নাংশ। ৫ কিলোমিটার দূরেও টের পাওয়া যায় বিস্ফোরণের ধাক্কা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবনের জানালা-দরজা। ডিপোর গা ঘেঁষে লোকালয় থাকলে পরিস্থিতি কী হতো তা চিন্তাও করা যায় না।
 
বন্দরে অবৈধভাবে বৈরুত বন্দরে মজুদ করে রাখা হয়েছিলো প্রায় ৩ হাজার টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। পরমাণু বোমার শক্তি নিয়ে বিস্ফোরিত হয় এসব রাসায়নিক। প্রাণ যায় দুই শতাধিক মানুষের। লেবাননের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছাড়ায় দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

কিন্তু সীতাকুণ্ডেও ভয়াবহতার মূল কারণ রাসায়নিক। অনুমতি না নিয়ে কিংবা প্রশাসনকে না জানিয়েই কন্টেইনার বোঝাই হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রাখা হয় ডিপোতে। আগুনের তাপে ভয়ংকর বোমার শক্তি নিয়ে বিস্ফোরিত হয় এ রাসায়নিক।

তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে মাত্র দু’বছর না যেতেই কেনো রাসায়নিক কন্টেইনারের বিস্ফোরণ দেখতে হলো বাংলাদেশকে।

 

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন লেবাননের | বৈরুতের | স্মৃতি | যেনো | সীতাকুণ্ডের | ঘটনা