শরীরে ভিটামিন সি-র জোগান অব্যাহত রাখতে নিয়মিত পাতিলেবু খান। সকালে কুসুম গরম পানিতে, দুপুরে ডাল-ভাতে কিংবা বিকেলের চায়ে- কয়েক ফোঁটা লেবুর রস না মেশালে চলে না। রস নিঙড়ে নেয়ার পর লেবুর খোসাগুলো নিশ্চয়ই ফেলে দেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, ফেলে দেয়া লেবুর খোসা দিয়ে ঘরের টুকিটাকি কত কাজ করে ফেলা যায়।
১. লেবুর খোসা: মহাদেশীয় রকমারি পদ, কেক, টার্ট কিংবা স্যালাডে লেবুর রস না দিয়ে ব্যবহার করা তার খোসা। রস বার করে নেওয়া লেবুর বাইরের অংশ থেকে ‘লেমন জেস্ট’ তৈরি করে রাখা যায়।
২. জীবাণুনাশক: ভিনিগার, বেকিং সোডার মতো উপাদানের সঙ্গে লেবুর খোসা ভিজিয়ে রাখলে তা প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। জলের সঙ্গে পরিমাণ মতো ওই মিশ্রণ দিয়ে কাচের টেবিল, কাচের বাসন, মেঝে পরিষ্কার করা যেতেই পারে। সম্পূর্ণ রাসায়নিক বর্জিত এই জীবাণুনাশক হাতের ত্বকেরও যত্ন নেয়।
৩. প্রাকৃতিক ক্লিনার: সাদা পোশাকের হলদেটে ছোপ কিংবা ব্যবহার করা চপিং বোর্ডের কালচে দাগ— সবই তুলে ফেলতে পারে লেবুর খোসা। ভিনিগারের সঙ্গে ফেলে দেওয়া লেবুর খোসা বেশ কয়েক দিন ভিজিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে প্রাকৃতিক ক্লিনার।
৪. প্রাকৃতিক রেপেলেন্ট: মশা তাড়ানোর তেল বা ধূপ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। লেবুর খোসা কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক রেপেলেন্ট হিসাবে দারুণ কাজ করে। লেবুর খোসার মধ্যে সামান্য লবঙ্গ তেল এবং কর্পূর দিয়ে তার মধ্যে একটি মোমবাতি জ্বেলে রাখলে ধার কাছে মশা ঘেঁষতে পারে না।
৫. এয়ার ফ্রেশনার হিসাবে: হেঁশেলে রেখে দেয়া আবর্জনা থেকে ঘরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে? ময়লা ফেলার বাক্সের কাছে বেশ কয়েকটি ব্যবহার করা লেবুর খোসা রেখে দিতে পারেন। গন্ধ দূর হবে। একই ভাবে ফ্রিজের ভিতরেও লেবুর খোসা রাখা যেতে পারে।