দেশজুড়ে

নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় হাজারো রোহিঙ্গা

নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় হাজারো রোহিঙ্গা
মিয়ানমারের সীমান্তে সাগরের তীরে হাজারো রোহিঙ্গার অবস্থান দেখা গেছে। কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা দেখা যায়। এসব নৌকায় করে তারা নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের ভয়ে তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছে না। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ প্রতিবেদকের কাছে এবিষয়ে বিস্তারিত জানায় টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের মাঝি ও জেলেরা। স্থানীয় জেলে কবির আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের এলাকায় আরাকান আর্মি ঢুকে পড়েছে। এতে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় তাদের অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। তাই কয়েক হাজার রোহিঙ্গা প্রাণে বাঁচতে বিলে,সাগরের তীরে আশ্রয় নিয়েছে। তারা যেকোনো মুহূর্তে নাফনদী পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করবে কি না জানি না। রাতের বেলায় তারা শাহপরীর দ্বীপসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারে। তবে তাদের ঠেকিয়ে রাখছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড। মিয়ানমারের মংডুর সিকদার পাড়ার রোহিঙ্গা সেলিম জানান, গোলাগুলিতে তাদের তিনটি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাণে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে চরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। সাগরে বাংলাদেশের বাহিনী বেশি থাকায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাঁরা চেষ্টা করবেন সেখানে ঢোকার। না হলে বাঁচতে পারব না। তিনি আরও বলেন, হেলিকপ্টার থেকে বোমা নিক্ষেপ করছে সরকারি বাহিনী। তাদের কয়েকটি গ্রাম থেকে গোলাগুলি হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে মংডু কাদিরবিল, নুরুল্যাহ পাড়া, বাগগুনা, নর বাইন্যা, থানাশো। এসব এলাকা থেকে রোহিঙ্গা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, মায়ানমারে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে রোহিঙ্গারা ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে নাফনদীতে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে বিজিবি। টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফনদী ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে উন্নতমানের স্পীডবোট দিয়ে জালিয়ারদ্বীপসহ আশপাশের এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রসঙ্গগত, এবার একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিবেনা বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলো  সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নাফ | নদী | দিয়ে | অনুপ্রবেশের | অপেক্ষায় | হাজারো | রোহিঙ্গা