আবারও পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে দরপতনের ফলে এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গেলো ৮ ডিসেম্বর ভারত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতে ভারতের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল নাশিকের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ থেকে কমে ১৩ রুপিতে নেমে আসে। দামের এই পতনে পেঁয়াজ চাষিরা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। এরপরই এমন সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার জানান, পেঁয়াজ রপ্তানির বিস্তারিত আগামী দুই দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এলসি খোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই ভারতীয় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে পরের দিন বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ খুচরায় প্রায় দ্বিগুণ দামে ২২০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ এরই মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে পেঁয়াজ, চিনি রপ্তানির অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। এরমধ্যেই ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্তের খবর এলো।