পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসার ছয় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে হাফেজ মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরের আলহেরা মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। এদিকে জিজ্ঞাসা বাদে ভুক্তভোগী মাদ্রাসার ছয় ছাত্রকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান নীলফামারী সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গোড় গ্ৰামের লতিফুর রহমানের ছেলে। তিনি আলহেরা মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলহেরা মাদ্রাসায় আবাসিক ও অনাবসিক ব্যবস্থায় পাঠদান চালু আছে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বলাৎকারের অভিযোগ পায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে না জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে। এদিকে চাকরিচ্যুত হলে জনরোষের ভয়ে ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় অবস্থান করলে বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন। ক্ষিপ্ত হয়ে অভিভাবক ও স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে রাত পৌনে ৮টায় মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়। এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা ভাঙ্গচুরের অভিযোগ এনে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। এর আগেও এক ছাত্রকে দুই বছর আগে বলাৎকার করে একই শিক্ষক। ছাত্রদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে তিনি এই অপকর্ম করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আলহেরা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই প্রধান বলেন, মিজানুর রহমান গত ৭-৮ বছর থেকে এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। গতকাল এক অভিভাবক তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনলে, গতকালই তাকে জরুরি মিটিংয়ের মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।