দেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী। অন্য কেউ দায়ী নয়। জনগণকে ক্ষুধায় রেখে পানিতে ডুবিয়ে আপনারা ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মা সেতু দেখাবেন। দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। সিলেটের বন্যা আমরা যা দেখছি সকালে হাঁটুপানি দুপুরে মধ্যে কোমর পানি। গোটা সুনামগঞ্জ শহর রীতিমতো পানিতে ভাসছে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার (২০ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে বন্দি করে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে আপনারা ঠেলে দেবেন এটা আর এ দেশের মানুষ সহ্য করবে না। সময় এসেছে, সরকারের গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে লুটিয়ে নেবে বাংলার মানুষ। সেই প্রত্যয় ও অঙ্গীকার নিয়ে এখন মানুষ রাজপথে নেমে পড়বে।
তিনি বলেন, আপনারা নাকি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবেন। তাহলে আজ কেন রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। কারণ কোথাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই। ঢাকা তো এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাত, না হলে সকালে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আপনারা যেসব আইন করেছেন শুধু আপনাদের লোকদের ধ্বনি করার জন্য আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার জন্য। আপনাদের লোকজন যেন বাংলার মানুষের ভাগ্য হরণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। একই সঙ্গে এই টাকা যেন বিদেশে পাচার করতে পারে সেই সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট সুনামগঞ্জ ৫০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। তাদের জন্য বরাদ্দ এক থেকে দেড় টাকা, আর পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানের জন্য ভারত থেকে একজন নৃত্যশিল্পী এসেছেন, তাকে নাকি দেবে তিন কোটি টাকা।
সংগঠনের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় প্রতীকী অনশনে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।