গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জনকে হত্যা করেছে। এছাড়া রাফা শহরের একটি আবাসিক টাওয়ার ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর এ তাণ্ডবে প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
রোববার (১০ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্ন উত্তর গাজায় অপুষ্টিতে এক শিশু এবং এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেখানে অনাহারে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হলো।
এদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ তহবিল পুনরুদ্ধার করেছে কানাডা এবং সুইডেন। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বলছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
অপরদিকে রমজান মাসকে সামনে রেখে এক বার্তায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজার ওপর এই জঘন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েল এবং এর মিত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে। এমনকি হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গেলো ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৩০ হাজার ৯৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭২ হাজার ৫২৪ জন। সেখানে ইসরায়েলি তাণ্ডবের কারণে খাবার এবং পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহ করা না হলে আরও বহু মানুষ প্রাণ হারাবে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনগাজায় | ইসরায়েলি | হামলায় | নিহত | ৩১ | হাজার