জাতীয়

রং-চিনি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল নকল ট্যাং, হাতেনাতে ধরা

রং-চিনি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল নকল ট্যাং, হাতেনাতে ধরা
রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা আলিফনগর এলাকায় অস্বাস্থ্যকর উপায়ে কাপড়ের রং আর চিনি মিশিয়ে নকল ট্যাং তৈরির সময় আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালস নামে একটি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানের নেতৃত্ব দেন পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল হক। অভিযানে অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের সময় হাতেনাতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। অভিযান প্রসঙ্গে রেজাউল হক বলেন, আমরা গোপন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালসের কথা জানতে পারি। এরপর আজ অভিযানে এসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্ট, মটর ভাজাসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করতে দেখি। আমাদের কর্মকর্তারা বাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে, এখানে উৎপাদিত কোনো পণ্যই আসলে ব্যবহার উপযোগী নয়। তিনি বলেন, আমরা সোমবার আমাদের একটি টিমকে গোপনে পাঠিয়েছি, তারা এসে প্রতিষ্ঠানটি শনাক্ত করে যায়। তারা অনেক আগে দুই-তিনটি পণ্য তৈরির অনুমোদন নিয়েছিল, যার মেয়াদও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তখন থেকেই ২-৩টির অনুমোদন নিয়ে তারা পণ্য তৈরি করছিল ৭-৮টি যা সম্পূর্ণ অন্যায়। রেজাউল হক বলেন, এখানে ভয়াবহ আরেকটি বিষয় পেয়েছি তা হলো তারা একইসঙ্গে সফট ড্রিংকস, চানাচুর তৈরির পাশাপাশি একজায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিকও তৈরি করছিল যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। তিনি আরও বলেন, রোজার মাসে রোজাদারদের অন্যতম একটি পানীয় হলো শরবত, যা বিভিন্ন রকমের ট্যাং দিয়ে তৈরি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মালিকও রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বড় প্রস্তুতি নিয়ে রাতদিন ট্যাং তৈরি করছিল। আমরা মনে করছি এই প্রতিষ্ঠানের ট্যাং যদি কেউ রোজা রেখে খায়, তাহলে তাদের পেটের পীড়া থেকে শুরু করে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ট্যাংয়ে তারা যে রংটি ব্যবহার করছে, সেই রংয়ের কোথাও ফুডগ্রেড উল্লেখ ছিল না। তারমানে তারা কাপড়ের রং ব্যবহার করছিল বলে আমাদের ধারণা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রংচিনি | মিশিয়ে | তৈরি | হচ্ছিল | নকল | ট্যাং | হাতেনাতে | ধরা