রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উপকণ্ঠে আয়োজিত এক কনসার্টে ভয়াবহ বন্দুক হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ১৮৭ জন। রাশিয়ায় বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাতে আল- জাজিরাএ তথ্য জানায়।
ক্রিমলিন থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ক্রোকাস সিটি হলে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় এই হামলা চালানো হয়। হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ৪ জন সরাসরি এ হামলার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে এফএসবি।
এই হামলা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক মাস আগেই রাশিয়াকে সতর্ক করেছিল বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার হামলার কয়েক ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন সরকারের কাছে মস্কোতে একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার তথ্য আসে। হামলার টার্গেট হিসেবে কনসার্টসহ বড় সমাবেশের নাম যোগ করা হয়। এই হামলা নিয়ে আগাম তথ্য রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার পর্যন্ত করা হয়েছে।
হামলার পর সেখান থেকে প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করেন অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের এরই মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ক্রোকাস সিটি সেন্টারে ভয়ানক ট্র্যাজেডি ঘটেছে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমার সমবেদনা। এ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সকলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে মস্কোতে একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য ছিল। কনসার্টসহ বড় ধরনের সমাবেশ লক্ষ্য করে হামলার সম্ভাবনা ছিল এবং এ বিষয়ে রুশ কর্তৃপক্ষকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তথ্য দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ মেট্রোতে একটি বোমা হামলার ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়।