এক আওয়াজ-স্লোগান আজ সর্বমহলে সমাদৃত, সেটি হলো ভারতের পণ্য বর্জন। দেশের মানুষ খুশি হয়ে তা করেনি, ভারতের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, অপমান লাঞ্ছনা ও ক্ষোভ থেকে তারা এটি করছেন। বললেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৪ মার্চ) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে ভারতের নীতিনির্ধারকরা বন্ধুত্বের কথা বলেন। কিন্তু তারা বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা দেবেন না, প্রতিদিন সীমান্তে মানুষ হত্যা করবে, একতরফা বাণিজ্য করবে, তা হবে না। এই যে অন্যায়গুলো বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিবাদী করেছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ভারসাম্যমূলক বাণিজ্য করতে চায় না,তারা চায় বড় ভাইসুলভ আচরণ করতে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিতে পারেন, কিন্তু সব মহল ও জনগণের মধ্যে এটি আজ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সুতরাং ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি যে সংহতি জানিয়েছে তা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়,একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়। ভারত একটি ফ্যাসিবাদী সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বাংলাদেশে স্বৈরশাসন কায়েম করতে সমর্থন দিচ্ছে। সেই ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল কিংবা ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি তারা একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগণের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতবিরোধী প্রচারণায় পণ্য বর্জনের আন্দোলনকে প্রসারিত করতে গত ২৩ মার্চ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমমনা ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটি। বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতের পণ্য বর্জনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।