মহানবি (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মা। এবার তার সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেয়ায় এক দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুই যুবক।
গেলো মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে রাজস্থানের উদয়পুরে মালদাস এলাকায় নিজ দোকানে ওই দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা সহিংস হয়ে উঠলে পুরো রাজস্থান রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই সাথে ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট এবং এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের বড় জমায়েত। রাজ্যটির সরকার উদয়পুর ও এর আশপাশে ৬০০ অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং শহরের কিছু অংশে কারফিউ ঘোষণা করেছে।
কানহাইয়া লাল নামের ওই দর্জিকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তার দোকানে আসা দুই ব্যক্তি তার গলা কেটে ফেলে। হত্যাকাণ্ডটি হামলাকারীদের একজন ভিডিও ধারণ করে এবং তারা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হত্যার হুমকি দেয়।
ভিডিওতে হামলাকারীদের একজনের পোশাকের জন্য মাপ নিতে দেখা যায় দর্জিকে। এরপরই তার ওপর হামলা শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডে উদয়পুর এবং রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য নেতারা শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি শেয়ার না করার অনুরোধ করেছে পুলিশ। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাওয়াসিং ঝুমারিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যমকে ভিডিওটি প্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, কানহাইয়া লাল কয়েকটি সংগঠনের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছিলেন। গেলো মঙ্গলবার বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করেছে রাজস্থান সরকার।
মির্জা রুমন
