গাইবান্ধার সাঘাটায় গৃহবধু পারভীন বেগম (২৩) হত্যা মামলায় স্বামীসহ দুই জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর তিনজন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতেকর বিচারক মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ এই রায় দেন। রায় প্রদানের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে ছাইফুল ইসলাম (৩৫) ও সাইফুলের প্রথম স্ত্রীর ছোটভাই ও পার্শ্ববর্তী বসন্তেরপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আব্দুল করিম (২১)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দেন আদালত। একই মামলায় তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়। খালাস প্রাপ্তরা হলেন ছাইফুলের প্রথম স্ত্রী পারভীন আকতার (৩২),আবদুল কুদ্দুস (১৯), কোহিনুর বেগম (৪২)।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৫ সালে সাঘাটা উপজেলার বড়াইকান্দি গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে পারভীন বেগমের (২৩) সঙ্গে ছাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। পারভীনের কোন সন্তান নেই। বিয়ের পর থেকে
ছাইফুলের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী পারভীন বেগমের পারিবারিক ও সাংসারিক কলহ চলতে থাকে। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের ছাইফুল একটি মাদক মামলায় গ্রেফতার হন। এ সময় পারভীন তার বাবার বাড়িতে থাকেন। কয়েক মাস পর ছাইফুল জামিনে মুক্তি পেয়ে পারভীন বেগমকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। একই সালে ৩০ জুলাই পারভীন বেগম মরদেহ আব্দুল করিমের বাড়ির পায়খানার সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ নিয়ে নিহতের বড়ভাই আজিজুর রহমান ৩০জুলাই রাতে বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাইফুল ইসলাম, আব্দুল করিম, পারভীন আকতার ,আবদুল কুদ্দুস , কোহিনুর বেগমসহ। পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে দুইজনের মৃত্যুদন্ড ও তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু আল আবদুল্লাহ জানান, এ রায়ে বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।