জাতীয়

কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী শহরকে সুন্দর রাখতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসময় ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, বাজার সরানোর অংশ হিসেবে আজ সকালে বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে থাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তর কাজ শুরু হয়। এর মাধ্যমে কারওয়ান বাজার সরানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে অফিসটি পূর্ণাঙ্গভাবে স্থানান্তরিত করব। প্রাথমিকভাবে এখানকার স্থায়ী বরাদ্দকৃত (আড়ৎ ভবন-১) ১৭৬টি আড়ৎ, দোকান সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। অস্থায়ী দুই স্থান থেকে (দক্ষিণ পাশের ১১৮টি ও উত্তর পাশের ৬২টি) ১৮০টি দোকান গাবতলীর আমিনবাজারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্য দোকানগুলো পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।” মোতাকাব্বির বলেন, ২০১০ সালে বুয়েট থেকে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল রেকটো ফিটিং করার জন্য। পরে দেখা যায় রেকটো ফিটিং করতে যে পরিমাণ খরচ, এর থেকে না করাই শ্রেয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া ছিল যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে। যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করার কথা রয়েছে। ২০১০ সালের প্রকল্পটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। এই প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ মার্চ কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, ঈদের পর কারওয়ান বাজারের ১৭৬টি পাইকারি দোকান গাবতলীতে সরিয়ে নেয়া হবে। এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কারওয়ান | বাজার | স্থানান্তরের | প্রক্রিয়া | শুরু