প্রধানমন্ত্রীর কন্যা ও জাতির জনকের দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের হাতে তোলা কয়েকটি ছবি পেয়ে আনন্দে আবেগ আপ্লুত হয়েছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের দুজন চিত্রগ্রাহক। গেলো ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ছবিগুলো তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা।
সেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘটনাকে স্মৃতিতে ধরে রাখতে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছিলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
এছাড়াও ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের ছবি নিজের ডিএসএলআর ক্যামেরাতেও তুলছিলেন বাংলাদেশে অটিজম–বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন পুতুল।
এর মধ্যে কোনো এক ফাঁকে তার ক্যামেরায় বন্দি হয় বিটিভির দুই চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব পালনের দৃশ্য। নিজের হাতে তোলা সেই ছবি বিটিভির চিত্রগ্রাহক মো. জাহিদুল করিম ও তার সহকারী মো. শহিদুল ইসলামকে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব-১ এম এম ইমরুল কায়েস এক ফেইসবুক পোস্টে তুলে ধরেছেন বিষয়টি।
‘মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু দৌহিত্রীর অনুভব-মমত্ববোধ’ শিরোনামে তিনি লিখেছেন, মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী সেদিন তার গাড়িবহর নিয়ে সেতুতে ওঠেন। পরে সেতুর মাঝ বরাবর একটি স্থানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফ্লাইপাস্ট উপভোগের জন্য যাত্রা বিরতি করেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তখন ক্যামেরায় ছবি তুলছিলেন।
“পদ্মা সেতুতে দায়িত্বপালনরত বিটিভির দুজন ক্যামেরাপারসনের একটি ছবি পাঠিয়ে গত পরশু সন্ধ্যায় আমার হোয়াটসঅ্যাপে প্রধানমন্ত্রীর এডিসি টেক্সট করেন যে, ছবিটি আমি যেন ওই দুই ক্যামেরাম্যানকে পৌঁছে দিই।
“বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য এডিসিকে ফোন দিলে উনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল তার নিজ ক্যামেরায় ওই ছবিটি তুলেছেন এবং তার কাছে যেহেতু ঐ ক্যামেরাপারসদের নম্বর নেই, তাই তিনি এটা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন।”
ইমরুল কায়েস লিখেছেন, “কিছুক্ষণ আমি স্থবির হয়ে পড়ি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দৌহিত্রীর মানুষের প্রতি প্রগাঢ় অনুভব আমাকে অভিভূত করে! ঐতিহাসিক ঐ মুহূর্তে অচেনা-অজানা বিটিভির দু'জন ক্যামেরাম্যানের ছবি তিনি না-ই তুলতে পারতেন; আর তুলেই যখন ফেলেছেন, পরবর্তীতে অপ্রয়োজনীয় ছবি হিসেবে তিনি এটি ডিলিট করে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি! এটিই জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের গণমানুষের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা ও মমত্ববোধ।”
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ের তোলা ছবি পেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চিত্র গ্রাহক মো. জাহিদুল করিম জানিয়েছেন, তার ১৭ বছরের ছবি তোলার জীবনে এমনটি কখনো হয়নি। তিনি অবাক হয়েছেন। আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি আরো বলেন ,এটি তার জীবনে পরম পাওয়া।
সহকারী চিত্রগ্রাহক মো. শহিদুল ইসলাম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, তিনি কখনো ভাবেননি তার ছবি সরকারপ্রধানের মেয়ে তুলে সেটা আবার তার কাছে পৌছে দেবার ব্যবস্থা করবেন।
অনন্যা চৈতী