রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ভেতর থেকে গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচন না করলে, পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। এমন মন্তব্য করেছেন লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক অধিবেশনে অংশ নিয়ে সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, গণতন্ত্রের মূল হচ্ছে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। দুটো বিষয়ে আমাদের একমত হওয়া দরকার। সংস্কারের ক্ষেত্রটা দোতলা একটা ঘর হিসেবে দেখি, ওপরের তলায় দুটো কক্ষ আছে—রাষ্ট্র ও জাতীয় সমাজ। যা কিছু পরিবর্তনের কথা আমরা এখন বলছি, নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণপরিষদ নির্বাচিত হবে। তাঁরা সংবিধান গ্রহণ করবেন অথবা পুরোনো সংবিধান পরিবর্তন করবেন। সেটা আমাদের ঐকমত্যের সাপেক্ষে হবে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে এই সমাজকে তৈরি করার জন্য যে জনমত গড়ে উঠেছে...স্কুল–কলেজ, জাতীয় ধর্মীয় সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী সমিতিসহ সব রকমের প্রতিষ্ঠানকে বলা যায় দ্বিতীয় কক্ষ।’
ভবিষ্যতে কিছু বিষয় নিয়ে ঐকমত্য দরকার হবে মনে করছেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ। তার জন্য যতটুকু সময় নেয়া প্রয়োজন, তা নিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে দেশের দায়িত্ব তুলে দেয়ার ওপরই জোর দিয়েছেন তিনি।
এই অধ্যাপক বলেন, ‘ভবিষ্যতে কিছু বিষয়ে আমাদের ন্যূনতম ঐকমত্য হতে হবে। তার জন্য যত সময় দরকার, ততটুকু আমরা নেব। কিন্তু সেই সময় অনন্তকাল হতে পারবে না। কারণ, মানুষ অনন্তকাল ধরে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে থাকতে যদি রাজি হতো, তাহলে তো শেখ হাসিনার অধীনে থাকলেও পারতেন।’
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের টাকা-পয়সা কোথা থেকে পায়, তাদের কারা দান করে, বিদেশিরা কত দান করে, দেশে কত দান পায়- এসবের তালিকা প্রকাশ করার কথা বলেছেন সলিমুল্লাহ খান।
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পয়সাকড়ি কোথা থেকে পায়, তাদের কারা দান করে, বিদেশিরা কত দান করে, দেশে কত দান পায়, তার তালিকা প্রকাশ করা হোক।
এম এইচ//