রবিবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত বিসিবির সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যা ক্রিকেটের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য কার্যকরী হতে পারে। বিসিবি এর আগেও জানিয়েছে, তারা একটি প্রাতিষ্ঠানিক টেলিভিশন চালু করতে চায়। যেখানে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া-সহ সম্ভব প্রায় সব ম্যাচ দেখানোর চেষ্টা করা হবে। বিসিবির সর্বশেষ সভায় এই টেলিভিশন চ্যানেল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিসিবিকে নিয়ে অবশ্য উঠেছে এক নতুন আলোচনা। যেখানে ক্রিকেট বোর্ড বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আসে। তবে এমন খবর সত্যি হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “বিসিবির বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার কোনো সুযোগ নেই। এটা বিভ্রান্তিকর তথ্য। ব্যাংকিং কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে আইনি পরামর্শ মেনেই এটা (সংশোধনী) করা হয়েছে। বিসিবি টিভি করার পরিকল্পনার কারণে বিসিবিকে আইনগত কাঠামোর মধ্যে আসতে হবে। এ জন্যই মূলত এই দুটি সংশোধনী। বিসিবির সংশোধনীতে বলা আছে, ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগ। এটা সব সময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে।“
বিসিবির নতুন টেলিভিশন চ্যানেলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যা নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচগুলো সাধারণত টেলিভিশনে সেভাবে সম্প্রচার হতে দেখা যায় না। মাঝেমাঝে ইউটিউবের কল্যাণে কিছু ম্যাচ দেখানোর চেষ্টা করা হয়। যেগুলোর সম্প্রচার ঠিক আদর্শ মানের না। বিসিবির পরিকল্পনায় রয়েছে, ছেলেদের ম্যাচ, মেয়েদের ম্যাচ থেকে শুরু করে ঘরোয়া ম্যাচগুলো নিজস্ব টেলিভিশনে প্রচার করা।
বিসিবি সভাপতি বলেন, “উদ্দেশ্যটা হচ্ছে যেকোনো ধরনের খেলা (ক্রিকেট) দেখানো। আমাদের এখানে দুটো চ্যানেল আছে, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি, ওরা খেলা দেখায়। যে সমস্ত খেলা ওরা দেখায় না বা দেখাতে পারে না, সেগুলো আমরা দেখাব। ”
“এখন ছেলেদের খেলা হচ্ছে। মেয়েদের খেলাটা দেখাতে পারছে না কেউ। এখন কেউ যদি দেখতে চায়, তাহলে একটা অপশন দরকার আমাদের। আমি চাই, আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটও দেখানো হোক। ঘরোয়া ক্রিকেট যদি দেখানো হয়, তাহলে খেলার মান আরও ভালো হবে। “