আপাতত কারাগারেই থাকতে হবে আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ভারতের নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিন তাকে কারাগারেই থাকতে হবে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর হেফাজত শেষে সোমবার (১ এপ্রিল) তাকে নয়াদিল্লির আদালতে তোলা হয়। কিন্তু পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়নি। ফলে আদালত আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত (১৪ দিনের) বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশের পরই দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান কেজরিওয়ালকে দিল্লির তিহার জেলে পাঠানো হচ্ছে।
তবে কারাগারে পাঠানোর আগে কেজরিওয়ালকে তার স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল, আপ নেতা অতিশী এবং সৌরভ ভরদ্বাজ'এর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে।
সোমবার সকালে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে তোলা হয় কেজরিওয়ালকে। ইডির আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এসভি রাজু আদালতকে জানায় জিজ্ঞাসাবাদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করছেন না। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর যেসব ডিজিটাল যন্ত্রাংশ আছে, তার পাসওয়ার্ডও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দিতে চাইছেন না।
ইডি আদালতকে জানিয়েছে প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে ইডি ফের তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আইনজীবীদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, কেজরিওয়াল তদন্তে ‘সহযোগিতা করছেন না’ এবং বিভিন্ন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর ‘এড়িয়ে যাচ্ছেন’। তারা আদালতের কাছে কেজরিওয়ালকে আরও ১৫ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন।
আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দিল্লির এএপি সরকারের মদ নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে যোগ থাকার কারণে কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ গ্রেপ্তার করে। তিনি ১ এপ্রিল পর্যন্ত ইডির হেফাজতে ছিলেন।
কেজরিওয়ালের দল এএপি বলেছে, তাদের নেতাকে একটি ‘বানোয়াট’ মামলায় ‘মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার’ করা হয়েছে। তার গ্রেপ্তারের জন্য কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দায়ী করেছেন।