ব্যাংকে হামলার পর কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা ম্যানেজারের ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছিলো। তারা ল্যাপটপ খুলে চেষ্টা করেছিল সাইবার হামলা চালানোর। কিন্তু ম্যানেজারের কৌশলের কারণে তারা সেটা পারেনি।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজারকে অপহরণ ও উদ্ধারের বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।
খন্দকার আল মইন জানান, অস্ত্রের মুখে ম্যানেজারের নিকট ব্যাংকের ভল্টের চাবি চাইলে ম্যানেজার তাদেরকে কৌশলে ভল্টের চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সন্ত্রাসীরা ভল্ট ভাঙ্গতে চেষ্টা করলে নেজাম উদ্দিন তাদেরকে জানায় যে, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যাপারটি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে।
র্যাব কর্মকর্তা জানা্ন, অপহরণের পর বেথেল পাড়ার পাশ দিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারকে হাঁটিয়ে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যায়। এরপর রাত ৩টার দিকে তারা ব্যাংক ম্যানেজারকে খাবার হিসেবে নুডলস দেয়। কখনো কখনো চোখ বাঁধা হয়েছে, আবার খুলে দেয়া হয়েছে। তারা দুবার খাবার সরবরাহ করেছে, মারধরও করেছে।
র্যাব জানায় , অপহৃত ম্যানেজারকে উদ্ধারে তাঁরা বেশকিছু কৌশল অবলম্বন করেন। তাঁরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সহযোগিতা নিয়েছি, যারা পার্বত্য অঞ্চলকে শান্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থা যারা আছে সবার সহযোগিতা নিয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল একটা কৌশল তাদের কাজে এসেছে। এরপর সন্ত্রাসীরা নিজেদের মোটরসাইকেলের মাঝে বসিয়ে একটি স্থানে ম্যানেজারকে রেখে গেছে। কিন্তু কৌশলগত কারণে সেই জায়গার নাম জানায়নি র্যাব।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে বান্দরবানে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব।