‘নিউইয়র্কের বাঙ্গালি কমিউনিটি দিন দিন আরো বড় হচ্ছে। আপনি চারপাশে তাকান দেখতে পাবেন ব্রঙ্কসে রয়েছে বাঙালি কমিউনিটির বড় একটি অংশ রয়েছে। ’-এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা বাঙালি কমিউনিটির প্রশংসা করলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস।
জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির কণ্ঠস্বর হতে যাওয়া নতুন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক সময়’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিসব উপলক্ষে উদ্বোধনী সংখ্যা প্রকাশ হলেও ২ এপ্রিল অনুষ্ঠানিক ভাবে পত্রিকাটির উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক মেয়র।অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র এরিক এডামসকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান আইবিটিভি ইউএসএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিউইয়র্ক সময়ের সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিলা হোসেন।
পরে উডসাইডের গুলশান টেরেসে ফিতা কেটে পত্রিকার উদ্বোধন করেন এরিক এডামস।এখন থেকে প্রতি শুক্রবার নিউইয়র্কবাসীর হাতে পৌঁছাবে নিউইয়র্ক সময়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র বলেন, নিউইয়র্কের বাঙ্গালি কমিউনিটি দিন দিন আরো বড় হচ্ছে। চারপাশে তাকালে আপনি দেখতে পাবেন ব্রঙ্কসে রয়েছে বাঙালি কমিউনিটির বড় একটি অংশ। আপনারা কুইন্সে দেখবেন বাঙালি জণগণের বড় একটি অংশ বাস করছে। ব্রুকলিনেও আপনারা একই ধরণের দৃশ্য দেখতে পাবেন। বাঙালির সংখ্যা বাড়ছে। শক্তিশালী হচ্ছে কমিউনিটি। আপনারা দেখছেন মার্কিন পুলিশ বাহিনীতে বাঙালিদের সংখ্যা কীভাবে বাড়ছে। বাঙালি কমিউনিটি ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে বাঙালিরা মনে করেন এখানে তারা একটি মার্কিন পরিবারের মতো বসবাস করছেন। বাঙালিরা বিশ্বাস রাখছেন মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থায়, বিশ্বাস রাখছেন ব্যবসা-বাণিজ্যে এবং জননিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি। আপনারা পুলিশ বাহিনী, বিজনেস কমিউনিটি ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহায়তা করছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মার্কিন বিশ্বাসের প্রতি আপনারা আস্থা রাখছেন।একারণে আমি মনে করি আইবিটিভি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘নিউইয়র্ক সময়’ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশ করেছে, এটা কমিউনিটির উন্নয়ন, শক্তি এবং সামর্থের বহিঃপ্রকাশ। আশাকরি বাঙ্গালি কমিউনিটির ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ হয়ে উঠবে ‘নিউইয়র্ক সময়।’
পত্রিকাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খানস টিউটোরিয়ালের চেয়ারম্যান নাঈমা খান ও সিইও ডা. ইভান খান, ডেমোক্রেটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজাদ, মিনা সুইটসের চেয়ারম্যান রিফাতী ফারুকসহ কমিউনিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।