আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

ব্রিটেনে একদিনে ১৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ

ব্রিটেনে একদিনে ১৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ

ব্রিটেনে বুধবার একদিনে ১৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন যা দেশটির ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনা। এদিক দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে ব্রিটেন। আর এর মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার ভয়াবহ চাপের মুখে পড়ল।

এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টির মধ্যে তীব্র বিদ্রোহ এবং মন্ত্রিসভা থেকে একের পর এক পদত্যাগের পর তার প্রধানমন্ত্রীত্ব রক্ষার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বুধবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে তাকে যে তীব্র প্রশ্নবানের মুখোমুখি হতে হয়, সেখানে অবশ্য তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগণ তাকে বিপুল ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে চান।

কিন্তু মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী দুজন মন্ত্রী মাত্র দশ মিনিটের ব্যবধানে পদত্যাগের পর জনসনের নেতৃত্ব এখন বিরাট হুমকির মুখে।

ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর তাদের পথ অনুসরণ করে একের পর এক আরও অনেক জুনিয়র মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। একসময় তার প্রতি বিশ্বস্ত বলে মনে করা হতো এমন অনেক মন্ত্রী এবং এমপিও জনসনকে সরে দাঁড়াতে বলছেন।

এর আগে ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে একদিনে ১১ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, মন্ত্রীদের পাশাপাশি কনজারভেটিভ দলের এমপিরাও পদত্যাগ করছেন। সব মিলিয়ে নজিরবিহীন সংকটে বরিস জনসনের সরকার।

শুধু মন্ত্রী বা এমপি নন, জনসনের আমলে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দূত এবং ব্যক্তিগত সচিবও পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া প্রকাশ্যে অনেক কনজারভেটিভ রাজনীতিকই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের অনাস্থার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু জনসন ক্ষমতা ছাড়তে চাইছেন না। এমনকি একজন মন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগের পরামর্শ দেয়ায় তাকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। তবে দেশটির চলমান টালমাটাল রাজনীতিতে বরিস জনসন সম্ভবত টিকে থাকতে পারবেন না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই একে জনসনের জন্য ‘শেষখেলা’ বলে মনে করছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ব্রিটেনে | একদিনে | ১৬ | জন | মন্ত্রী | পদত্যাগ