বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। বললেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সব রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তাঁর ধারণা শেখ হাসিনা একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। আর জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা সেটাকে দমন করে। সেই জিনিসটা বর্তমানে বিএনপি দেখতে পাচ্ছে।
এ বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দি কেউ নেই; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দি নেই। যারা বন্দি রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনো মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। তিনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারা দেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দি রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মূলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মসূচিতে জন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীসহ বিএনপির মহানগর কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ