এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলো ফ্লোরিডার ম্যাকডিল বিমান বাহিনীর ঘাঁটি। বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি যে, বিমান আটকে দিয়েছে এক বিশালাকৃতির কুমির! যার ভিডিও দেখে নেটিজেনদের একাংশ কুমিরটিকে ‘যুদ্ধবিরোধী’র তকমা দিয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বাস্তবে ঘটনাটি ঘটেছে ফ্লোরিডার বিমান ঘাঁটি।
ফ্লোরিডার পথেঘাটে কুমিরের দেখা পাওয়া নতুন কোনো ব্যাপার নয়। সেখানকার বিভিন্ন জলাভূমি, হ্রদে প্রায় ১৩ লাখ কুমিরের বাস। মাঝেমধ্যে তারা হানা দেয় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে। ঢুকে পড়ে বাড়ির বাগানেও। কিন্তু বিমানসেনার ঘাঁটিতে এত বড় কুমিরের দেখা পাওয়া খুবই বিরল।
বিরল এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন এয়ার বেজের দুজন অফিসার। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয় ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমিরের কীর্তি। ভিডিও দেখে নেটিজেনদের একাংশ কুমিরটিকে ‘যুদ্ধবিরোধী’র তকমা দিয়েছেন। তাদের মত, কুমিরটিকে দেখে মনে হচ্ছে, বিমানটির পথ আটকে সেও শান্তির বার্তা দিচ্ছে।
https://twitter.com/fl360aero/status/1782481079850451434
মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, সোমবার এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয় ফ্লোরিডার ম্যাকডিল বিমান বাহিনীর ঘাঁটি। জ্বালানি নেওয়ার জন্য অবস্থান করা একটি KC-135 বিমানের সামনে সটান হাজির হয় একটি দানবাকৃতি কুমির। রানওয়েতে দিব্যি প্লেনের চাকাকে আরামকেদারা বানিয়ে ফেলে সরীসৃপটি। ফলে যাত্রা আটকে যায় জ্বালানিবাহী বিমানটির।
এরপর কুমিরটিকে সেখান থেকে সরানোর জন্য খবর দেয়া হয় ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশনকে। কিন্তু কুমিরটিকে চাকার নিচ থেকে বের করতে কালোঘাম ছুটে যায় কর্মকর্তাদের। দড়ি বেঁধে কোনোমতে বিমানটির চাকার নিচ থেকে বের করে আনা হয় সরীসৃপটিকে। বেশ কিছুক্ষণ ‘যুদ্ধ’ করার পর বাগে আসে কুমিরটি। ম্যাকডিল বিমান ঘাঁটি থেকে উদ্ধারের পর সেটিকে নিরাপদে পাশের হিলসবরো নদীতে ছেড়ে দেয়া হয়।
গোটা ঘটনা এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরে ম্যাকডিল এয়ার ফোর্সের জানায়, ‘আমাদের নতুন করালদন্ত এয়ারম্যানকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
টিআর/