কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার এবং প্রক্টরকে দেয়া ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটামের পর দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী তাদের দপ্তরে তালা দিয়েছে কুবি শিক্ষক সমিতি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে তিনটি কার্যালয়ে তালা দেয়া হয়।
শিক্ষক নেতারা জানান, শিক্ষকদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদদানকারী ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, গেস্টহাউস শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে শিক্ষকরা তিন দফায় ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। যার সঙ্গে সবশেষ যুক্ত হয় ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম।
দপ্তরে তালা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা উপাচার্য স্যারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সমাধানের জন্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। তাই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী প্রক্টর, ট্রেজারার ও উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেয়া হয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আন্দোলন চললেও নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হবে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করুক। কিন্তু যেভাবে শিক্ষকদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে, অবৈধ শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে আজ আমাদের এই পদক্ষেপ। আমরা আশাবাদী উপাচার্য এই সংকট নিরসনে এগিয়ে আসবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. হুমায়ুন কবির এবং প্রক্টর ওমর সিদ্দিকী এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এএম/