আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ইউক্রেন-রাশিয়া চুক্তি সই, চালু হচ্ছে শস্য রপ্তানি

ইউক্রেন-রাশিয়া চুক্তি সই, চালু হচ্ছে শস্য রপ্তানি

ইউক্রেন এবং রাশিয়া ‘মিরর’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যা কিয়েভকে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রপ্তানি পুনরায় চালু হচ্ছে।

শুক্রবার (২২ জুলাই) ইস্তাম্বুলে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সই হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত এই চুক্তি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই চুক্তির মাধ্যমে বর্তমানে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে আটকে থাকা লক্ষাধিক টন শস্য রপ্তানি করা যাবে।

ওইদিন চুক্তি করলেও যুদ্ধরত দুই দেশের প্রতিনিধিরা কেউ কারও সামনাসামনি হননি। বরং পৃথকভাবে চুক্তিপত্রে সই করেছেন তারা। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু প্রথমে মস্কোর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, এরপর ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী ওলেক্সান্ডার কুব্রাকভ কিয়েভের অনুরূপ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তিটি ১২০ দিন স্থায়ী হবে, ইস্তাম্বুলে একটি সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেখানে জাতিসংঘ, তুর্কি, রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের কর্মী থাকবেন। উভয় পক্ষ সম্মত হলে এটি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।

ইউক্রেন বলেছে, তারা শস্য রপ্তানির বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তি করেনি, করেছে জাতিসংঘের সঙ্গে। 

তারা আরও জানিয়েছে, চুক্তির অন্যতম শর্ত হলো, জাহাজগুলোতে যখন তল্লাশি চালানো হবে, সেটি যেন তুরস্কের জলসীমায় হয়।

চুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 

এরদোয়ান বলেন, ওই চুক্তি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া থেকে বাঁচাবে।

জাতিসংঘ প্রধানের মতে, এটি একটি আশার আলো। রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্মতিতে এই চুক্তি বিশ্বকে স্বস্তি দেবে।

জাতিসংঘ প্রধান জানান, এই চুক্তি ইউক্রেনের তিনটি প্রধান বন্দর- ওডেসা, চেরনোমর্স্ক এবং ইউঝনি দিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য রপ্তানির দুয়ার খুলে দিয়েছে। চুক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ একটি সমন্বয় কেন্দ্র খুলবে।

তাসনিয়া রহমান

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইউক্রেনরাশিয়া | চুক্তি | সই | চালু | হচ্ছে | শস্য | রপ্তানি