কানাডায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় মারাত্মকভাবে আহত হন। ১৪ মাস ধরেই এমন অবস্থা চলছে। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নিবিড়ের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কানাডার টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা নিবিড় প্রায় ১৪ মাস পর চোখ মেলতে শুরু করেছেন।
কুমার বিশ্বজিৎ বলেন ‘অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’
তিনি বলেন, 'আমার আশা, ভালোবাসা ভবিষ্যৎ, সবকিছু আমার ছেলে নিবিড়কে নিয়ে। এ ঘটনায় আমার পুরো দুনিয়াটা থেমে গেছে। এমন অবস্থায় একজন পিতা কেমন থাকতে পারে। নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা এখন অনেক উন্নতির দিকে। কেউ কিছু বললে সেটা বুঝতে পারে। তার দিকে তাকিয়ে থেকে সাড়া দেয়। বুঝতে পারে তাকে কিছু বলা হচ্ছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে এখনো অনেক সময় লাগবে। রিহ্যাবে নেওয়ার পর ফিজিওথেরাপি, স্পিচথেরাপি, স্টিমিউলেটেড থেরাপি এসব দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী কাজ এসব।'
কুমার বিশ্বজিৎ আরও বলেন, ‘আমি ও নিবিড়ের মা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওর মা সন্তানের জন্য খুব কষ্ট করছেন। আমাদের জন্য খুব কঠিন একটা সময়। আমাদের পরিচিত স্বজন অনেকেই আছেন। তারাও দেখাশোনা করেন। ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যাবে আশা করছি। দীর্ঘদিন হাসপাতালে শুয়ে থাকার কারণে শরীর অসাড় হয়ে আছে। একটু একটু করে ঠিক হবে। গত দুই মাস থেকে তাকে চেয়ারে বসানো হচ্ছে। চেয়ে থেকে আমাদের চিনতে চেষ্টা করে। ডাকলে তাকিয়ে থাকে মুখের দিকে।'
‘নিবিড়ের এক্সপ্রেশনে দেখে মনে হয়, বাবা-মাকে চিনছে। আমাদের চেনে। অনেক সময় তাকানো,৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরা। এরপর যখন বলা হয়, “বাবা আসছে, মা আসছে”, তখন বোঝা যায়, আমাদের চেনে। মা যখন বলে, “আমাদের চিনতে পারো?” তখন তার এক্সপ্রেশনে বুঝতে পারি, হয়তো চিনছে।
প্রসঙ্গত, গেলো বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টোয় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কা লেগে নিবিড় কুমার গুরুতর আহত হন। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আরও তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
জেড/এস