গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলনের ১৫তম অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ইউরোপ সফর শেষ করেই তিনি গাম্বিয়ায় উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন। আগামী ২ মে থেকে শুরু হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রস্তুতিমূলক সভা, যাতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড, হাছান মাহমুদ।
এদিকে, টেকসই উন্নয়নের জন্য সংলাপের মাধ্যমে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে গাম্বিয়ার বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের ১৫তম অধিবেশনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শুরু হয়েছে। দুই দিনব্যাপী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বৈঠকে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘দুই দিনব্যাপী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও গাম্বিয়ায় বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) ওয়াহিদা আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।
অন্যদিকে, ২ মে শুরু হতে যাওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রস্তুতিমূলক সভায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে 'ফিলিস্তিন ও আল-কুদস আশ-শরিফ ইস্যুতে খসড়া রেজুলেশন', 'খসড়া চূড়ান্ত ঘোষণা' এবং 'বানজুল খসড়া ঘোষণা' চূড়ান্ত করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রস্তুতি সভায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক নৃশংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ওআইসি সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রস্তুতিমূলক ওই বৈঠকে অর্থনৈতিক, মানবিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মুসলিম উম্মাহর ওপর প্রভাব ফেলে এমন নারী ও যুবসমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নেতৃবৃন্দ মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক ইস্যু বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যু, অর্থনৈতিক, মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়, যুবসমাজ, নারী, পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য, মুসলিম সম্প্রদায় এবং ওআইসি বহির্ভূত দেশগুলোর সংখ্যালঘু, ইসলামোফোবিয়া, ঘৃণামূলক বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং আইনি বিষয়ে আলোচনা করবেন।
ওআইসি মহাসচিব সম্মেলনে পূর্ববর্তী অধিবেশন থেকে সংস্থাটির গৃহীত সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
১৫তম সম্মেলনে শেষে চূড়ান্ত ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। এই ইশতেহারে শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থাপিত ইস্যুতে ওআইসির অবস্থান, ফিলিস্তিন ও আল-কুদস আল-শরিফ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব এবং বানজুল ঘোষণা রয়েছে।