ভোর থেকেই মেঘে ঢেকে ছিল নোয়াখালীর আকাশ। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে ফিরে আসে স্বস্তি ।
একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা স্থানীয়দের।
দেশজুড়ে যখন দাবদাহ, তখন দেশের বেশকিছু জেলায় নেমেছে প্রশান্তির বৃষ্টি। ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রার মধ্যে এ বৃষ্টি যেন স্বস্তি এনেছে জনমনে। সবাই প্রার্থনা করছেন, সামনে বৃষ্টির প্রবণতা বেড়ে চলমান তাপপ্রবাহ যেন কিছুটা কমে।
এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রাম, ফেনী ও রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃষ্টিপাতের এ ধারা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এছাড়া, সকালে বান্দরবানে থেমে থেমে বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাদ যায়নি বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। সেখানেও ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এতে তীব্র দাবদাহ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলেছে নগরবাসীর। প্রশান্তি নেমে এসেছে তাদের মধ্যে।
এদিকে, চট্টগ্রামের পাশ্ববর্তী জেলা ফেনীতেও দেখা মিলেছে বৃষ্টির। জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ সারাদিন আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সকালে সর্বোচ্চ ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলা শহরেও সকালে বৃষ্টি হয়েছে।
তবে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এখনও হিট ওয়েভ আছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলা সমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
সিনপটিক অবস্থা পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ সময় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী ১০ মে-এর পর থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে সারাদেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝড়ো বাতাস ও বজ্র ঝড়সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ।
এসি//