পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেতে হলে তার সঙ্গে রাখতে হবে যৌন সম্পর্ক। উপরি হিসেবে পাওয়া যাবে মোটা অঙ্কের অর্থও। যখনই তিনি ডাকবেন, ছুটে যেতে হবে। পূরণ করতে হবে তার মনোবাসনা। শিক্ষার্থীদের এমন বাজে প্রস্তাব দিতেন এই নারী শিক্ষিকা। ঘটনাটি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তামিলনাড়ুর দেবঙ্গ আর্ট কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক নির্মলা দেবীর।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন এই সহকারী অধ্যাপক। চাপের মুখে তাকে বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মুখোমুখি করা হয় বিচারের।
ছয় বছর আগের এই যৌন কেলেঙ্কারিটি প্রকাশ্যে আসতেই তামিলনাড়ুসহ গোটা ভারতে সৃষ্টি হয়েছিল আলোড়ন। দীর্ঘ শুনানির পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সেই শিক্ষিকাকে দেয়া হয়েছে ১০ বছরের কারাদণ্ড। সঙ্গে করা হয়েছে আর্থিক জরিমানাও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর! ৬ বছর আগের সেই যৌন কেলেঙ্কারির মামলায় শুনানি শেষ করে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তামিলনাড়ুর একটি মহিলা আদালত নির্মলা দেবীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পরে আদালত নির্মলা দেবীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। জরিমানা করেন প্রায় আড়াই লাখ রুপি। অভিযুক্ত শিক্ষিকা তামিলনাড়ুর মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ দেবঙ্গ আর্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
ভারতে তোলপাড় ফেলে দেয়া এ ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৮ সালের এপ্রিলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সময় একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছিল। তাতে তৎকালীন অধ্যাপক নির্মলা দেবীর সঙ্গে কলেজছাত্রীদের কথাবার্তা ভাইরাল হয়।
অডিও টেপে বলতে শোনা যায়— বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের বদলে পরীক্ষায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর পাওয়া যাবে। আর সেই সঙ্গে অর্থও পাওয়া যাবে। কলেজছাত্রীদের নির্মলা দেবী সেই প্রস্তাব দিলেও অবশ্য তারা রাজি হননি।
এই নিয়ে নির্মলার বিরুদ্ধে সেই সময় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চার ছাত্রী। যদিও নির্মলা সেই সময় এই কথা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় তামিলনাড়ুতে।
এসি//