বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, খালেদা জিয়া আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী। বললেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৩ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেপ্তার ও বন্দি হয়েছেন। । বিএনপি রাজপথেও তারা মুক্তির দাবিতে দেখার মতোও বিক্ষোভ মিছিলও করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগিতা করেছেন।
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের বিষয়ে কাদের বলেন, অনেকেই এরমধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন।
নিজের আত্মীয়ের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না সেটাও বলা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা তিনি মুখে বলবেন একটা আর কাজে করবো আরেকটা এটাতে তিনি বিশ্বাসী নন। কোন প্রকার স্বজনপ্রীতিকে তিনি কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দিবেন না।
বিদেশি চাপের বিষয়ে তিনি বলেন, কীভাবে সরকারের ওপর চাপ দেয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই চাপগুলো অনুভব করি। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি ছিলো, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেয়া হয়েছিল। এখানে কোন গোপনীয়তার বিষয় ছিল বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোন সিক্রেট বিষয় ছিলো না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।
প্রসঙ্গত, এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
আই/এ