বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের একটি নতুন উপপ্রজাতির আবির্ভাব ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ আমেরিকায়। করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের ওই সাব-ভেরিয়েন্টটি অনেক দেশে ঢুকেছে। নাম কেপি.২। এরা একটি বড় গ্রুপের অংশ, চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের দেয়া নাম— ‘ফ্লার্ট ভেরিয়েন্টস’। ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন ঘটে কেপি.২-র জন্ম হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উপপ্রজাতিটির দেখা মিলছিল। এবার ভারতেও ছড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৯১ জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে।
এর আগে জেএন.১ নামে একটি ভেরিয়েন্ট ছড়াচ্ছিল। তাকে সরিয়ে দিয়ে বর্তমানে দেশের পর দেশ ‘দখল’ করছে কেপি.২।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কেপি.২ ভেরিয়েন্টের জন্যই সংক্রমণ বাড়ছে। পুণে ও ঠাণে ছাড়াও অমরাবতী এবং ঔরঙ্গাবাদে ৭টি করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সোলাপুরে ২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। আহমেদনগর, নাশিক, লাতুর ও সাঙ্গলিতেও কেপি.২ ভেরিয়েন্ট ধরা পড়েছে। মুম্বাইয়ে এখনও পর্যন্ত কেপি.২ ধরা পড়েনি।
শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক (ইন্টারনাল মেডিসিন) হৃষীকেশ দেশাই বলেন, ‘কোভিড অতিমারি অনেক দিন হল কমতে শুরু করেছিল, কিন্তু আচমকাই আমেরিকায় ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এটি ওমিক্রন জেএন.১ লাইনেজের ভেরিয়েন্ট। এর জন্যই এই শীতে আমেরিকায় নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বেড়েছিল।’
দেশাই জানিয়েছেন, ওমিক্রনের অন্য উপপ্রজাতিগুলোর থেকে ফ্লার্ট-এর অন্তর্ভুক্ত কেপি.২ এবং কেপি ১.১, দু’টি উপপ্রজাতিই অনেক বেশি সংক্রামক। কোনও ব্যক্তির আগে কোভিড হয়ে থাকলেও ফের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভেদ করতে পারে এটি।
ওই চিকিৎসক জানান, কেপি.২-তে স্বাদ-গন্ধ যায় না, কিন্তু সর্দিকাশি, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ, গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। খিদে কমে যাওয়া।
অতিমারিতে যা যা সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছিল, যেমন মাস্ক পরা, শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) ভাল রাখা, ভিড় এড়ানো, সংক্রমিতদের থেকে দূরে থাকা, ফের সে সব করতে হবে। বয়স্কদের, বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত ব্যাধি রয়েছে, তাদের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন দেশাই।
জেএইচ