আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দীর্ঘতম সেতু পায়ে হেটে পার হলেন পরিকল্পনামন্ত্রী

দীর্ঘতম সেতু পায়ে হেটে পার হলেন পরিকল্পনামন্ত্রী

কুশিয়ারা নদীর উপর সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতুর কাজ পরিদর্শন করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সেতুটি চালু হলে প্রান্তিক জেলা সুনামগঞ্জের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার। এর ফলে হাওর প্রধান সুনামগঞ্জ জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নবদীগন্তের সূচনা হবে।

আজ বুধবার (১০ আগষ্ট) বেলা ২টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ সেতু‘র কাজ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অগ্রযাত্রায় আমরা গর্বিত।

এদিকে সিলেট বিভাগের স্বপ্নের এবং দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় সিলেট বিভাগের বৃহৎ সেতুটি এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠায় এলাকারও দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। দৃষ্টি নন্দন পর্যটন সমৃদ্ধ দৃশ্যপটের রূপ লাভ করা সেতুর আশপাশের জমিরও দাম বেড়ে গেছে। প্রকৌশলীরা আশা করছেন আগামী ১ মাসের এর কাজ শেষ হলে তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটারের মাথার এই সেতু‘র কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আবদুল মান্নানের প্রচেষ্টায় রাণীগঞ্জ সেতুর কাজ শুরু হয়ে দ্রæত সময়ে ভিতরে শেষ হচ্ছে।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব হাসনাত হোসাইন, সুনামগঞ্জ জেলার সড়ক ও জনপদ অদিধপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আকমল হোসেন, জগন্নাথপুর-দক্ষিন সুনামগঞ্জ সার্কেল এসপি সুভাশীষ ধর, থানার অফিসার ইনজার্চ মো. মিজানুর রহমান, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. সুন্দর আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম সহ উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন দীর্ঘতম | সেতু | পায়ে | হেটে | পার | পরিকল্পনামন্ত্রী