বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে ঝালকাঠিতে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলার কাঠালিয়া ও রাজাপুরের বিষখালী নদীর বেড়ি বাঁধ না থাকায় বিস্তৃর্ণ এলাকা এখন প্লাবিত। জেলার চার উপজেলায় আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া,আমুয়া, পাটিখালঘাটা গ্রামসহ ২০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে।
গেলো দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাঘাট তলিয়ে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে অসংখ্য মানুষ। বিশেষ করে বিষখালী ভেরিবাঁধ না থাকায় নদীর তীরবর্তী কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউএনও’র অফিস,পরিসংখ্যান, যুবউন্নয়ন,সমবায়,আনসার বিডিপি,পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক ও ডরমেটির ভবন গুলোর অফিসকক্ষে পানি ঢুকে পরেছে।
এদিকে কৃষকারা জানান, সকাল থেকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রোপা আমন ও আমনের বাজীতলাসহ লতাকৃষি নিমজ্জিত রয়েছে। পানি স্থায়ী হলে আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জোয়ারে পানি উঠলেও তা আবার ভাটায় নেমে যায়। পানি স্থায়ী না হলে কৃষির কোন ক্ষতি হবে না বলে কৃষি বিভাগের দাবী।