বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। যদিও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন গণনা চলছে।
এই ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ২২ টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আজ ৮৭টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ২০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। পরের চার ঘণ্টাসহ মোট কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।
যেসব নির্বাচনী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের পানি, কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে, কোথাও বিদ্যুত,সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, এইসব বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন মোট ১৯টি উপজেলার ভোট গ্রহণ আপাতত স্থগিত করে।
এইগুলো হলো-বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা।’
এই ছাড়া ইভিএম মেশিনে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ এবং সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ভোট মঙ্গলবার স্থগিত করে কমিশন।
জেএইচ