দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজন হলে ডিম আমদানি করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এমন বক্তব্যের পর একদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম হালিতে কমেছে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা। গেলো কয়েক দিনে দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বাজারগুলোতে লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে হালিপ্রতি ৫০ টাকা করে। যা বুধবার (১৭ আগস্ট) বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা হালিতে। কোথাও কোথাও বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা হালিতে।
সেই হিসাবে খুচরা বাজারে একদিনের ব্যবধানে হালিপ্রতি ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে যারা ডজন কিংবা এক কেস ডিম কিনছেন তারা আরও কম দামে কিনতে পারছেন। এক্ষেত্রে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় কিনতে পারছেন তারা।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তার ওপর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ডিমের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমেছে। এ কারণে তাদের ব্যবসাও কমেছে। তাই তারাও চান চাই ডিমের দাম কমুক।
রাজধানীর বাজারগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিমের দাম কমলেও দেশি মুরগি কিংবা হাঁসের ডিমের দাম কমেনি। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।
দেশের বাজারে ডিমের হালি ৫০ টাকা হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতায় ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় ২৫ টাকার আশপাশে (১ রুপি সমান ১ টাকা ২০ পয়সা ধরে)।
পার্শ্ববর্তী আরেক দেশ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে ফার্মের মুরগির ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০৮ পাকিস্তানি রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৪ টাকার মতো। সে হিসাবে প্রতি হালি ডিমের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৩১ টাকা। অর্থাৎ কলকাতা ও রাওয়ালপিন্ডির তুলনায় ঢাকায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।
এসি