কিছুদিন আগেই ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) চূড়ান্ত করেছিলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বুধবার আগামী চার বছরের ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডার প্রকাশ করলো আইসিসি।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে এই চক্র শুরু হবে। যা শেষ হবে ২০২৭ সালের মার্চে। এই সময়ে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৩৪টি টেস্ট, ৫৯টি ওয়ানডে ও ৫৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে টাইগারদের। এফটিপিতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
আর এই চক্রে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডেও খেলবে বাংলাদেশই। তাই ওয়ানডেতে জ্যাকপট পেয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের পেছনে আছে শ্রীলংকা। তারা খেলবে ৫৮টি ওয়ানডে।
এই এফটিপিতে ১৭টি টেস্ট সিরিজের প্রতিটিতে দুটি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের ১২টিই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়পের অংশ। এছাড়া ১৯টি ওয়ানডে সিরিজের ১৮টি হবে তিন ম্যাচের। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে টাইগারদের।
টি-টোয়েন্টিতে মোট ১৮টি সিরিজের ১৬টি হবে তিনটি ম্যাচের। এছাড়াও, ২০২৩ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফরে চার ম্যাচের সিরিজ এবং ২০২৪ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য রোমাঞ্চকর দুইটি সফরও রয়েছে। ঐ বছরের আগস্টে পাকিস্তান সফরে দুই টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে দুই টেস্টের সঙ্গে তিন টি-টোয়েন্টিও খেলবে টাইগাররা।
এর বাইরে ২০২৭ সালের মার্চে চক্রে নিজেদের শেষ সিরিজের মধ্য দিয়ে ২৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে বাংলাদেশের। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে তারা। সর্বশেষ ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। আর ২০০৮ সালে সর্বশেষ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে অসিদের দেশে গিয়েছিলো বাংলাদেশ।
২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) বাংলাদেশের সিরিজগুলো :
মে-২০২৩, বিপক্ষ- আয়ারল্যান্ড (অ্যাওয়ে), ৩টি ওয়ানডে, ৪টি টি-টোয়েন্টি
জুন-২০২৩, আফগানিস্তান (হোম), ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
সেপ্টেম্বর-২০২৩, নিউজিল্যান্ড (হোম), ৩টি ওয়ানডে
নভেম্বর-২০২৩, নিউজিল্যান্ড (হোম), ২ টি টেস্ট
ডিসেম্বর-২০২৩, নিউজিল্যান্ড (অ্যাওয়ে), ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
ফেব্রুয়ারি-মার্চ-২০২৪, শ্রীলংকা (হোম), ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
এপ্রিল-২০২৪, জিম্বাবুয়ে (হোম), ২টি টেস্ট, ৫টি টি-টোয়েন্টি
জুন-২০২৪, আফগানিস্তান (অ্যাওয়ে ), ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
আগস্ট-সেপ্টেম্বর-২০২৪, পাকিস্তান (অ্যাওয়ে), ২ টেস্ট
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-২০২৪, ভারত (অ্যাওয়ে), ২টি টেস্ট, ৩টি টি-টোয়েন্টি
অক্টোবর-নভেম্বর-২০২৪, দক্ষিণ আফ্রিকা (হোম), ২টি টেস্ট
নভেম্বর-ডিসেম্বর-২০২৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (অ্যাওয়ে), ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
মার্চ-এপ্রিল-২০২৫, জিম্বাবুয়ে (হোম), ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
মে-২০২৫, পাকিস্তান (অ্যাওয়ে), ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
জুন-জুলাই-২০২৫, শ্রীলংকা (অ্যাওয়ে), ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
আগস্ট-২০২৫, ভারত (হোম), ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
অক্টোবর-২০২৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (হোম), ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
নভেম্বর-ডিসেম্বর-২০২৫, আয়ারল্যান্ড (হোম), ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
মার্চ-২০২৬, পাকিস্তান (হোম), ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
এপ্রিল-২০২৬, নিউজিল্যান্ড (হোম), ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
জুন-২০২৬, অস্ট্রেলিয়া (হোম), ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
জুলাই-আগস্ট-২০২৬, জিম্বাবুয়ে (অ্যাওয়ে), ২টি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে
আগস্ট-২০২৬, আয়ারল্যান্ড (অ্যাওয়ে), ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি-টোয়েন্টি
অক্টোবর-নভেম্বর-২০২৬, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (হোম), ২টি টেস্ট
নভেম্বর-ডিসেম্বর-২০২৬, দক্ষিণ আফ্রিকা (অ্যাওয়ে), ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে
ফেব্রুয়ারি-২০২৭, ইংল্যান্ড (হোম), ২টি টেস্ট
মার্চ-২০২৭, অস্ট্রেলিয়া (অ্যাওয়ে), ২টি টেস্ট