পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া সংলগ্ন মিলবোর্ন বরোতে মেয়র পদে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে মার্কিন রাজনীতি ও প্রশাসনে বাংলাদেশিদের উত্থানের নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে। আগামী ১৮ মে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে মাঠে নামা দুইজনই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকান। দুই প্রার্থী হলেন মো. নূরুল হাসান এবং মাহাবুবুল তৈয়ব। নির্বাচনে যিনিই জয়ী হবেন তিনিই লাল-সবুজের পতাকা ধারণ করে বহুজাতিক ওই সিটিতে বাংলাদেশকেই মহিমান্বিত করবেন। এ মন্তব্য করেছেন পেনসিলভেনিয়ায় কম্যুনিটি লিডার ড. ইবরূল হাসান চৌধুরী।
ড. ইবরূল বলেন, মিলবোর্ন বরোর আয়তন এবং জনসংখ্যা বেশি না হলেও সিটি মেয়র হিসেবে নিউইয়র্ক বা ফিলাডেলফিয়া সিটির মেয়রের যে গুরুত্ব, এরও তাই।
বর্তমানে মিলবোর্ন বরোর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নূরুল হাসান। অপরজন ওই সিটির কাউন্সিলম্যান। উভয়েই চট্টগ্রামের সন্তান। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বহুদিনের।
১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ সোসাইটি অব পেনসিলভেনিয়ার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন মো. নূরুল হাসান। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন তিনি। পাশাপাশি পিপল এন টেক এর ফিলাডেলফিয়া ক্যাম্পাসেরও নির্বাহী প্রধান।
১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ সোসাইটি অব পেনসিলভেনিয়ার বিভিন্ন পদে কাজ করছেন অপর প্রার্থী মাহাবুবুল তৈয়বও।
পেনসিলভেনিয়ার ডেলাওয়্যার কাউন্টির দক্ষিণ-পূর্ব বিভাগে অবস্থিত মিলবোর্ন বরো। এটি অ্যামেরিকার সিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সেখানে ১৫০০ লোকের বাস। আকার ০.১ বর্গ মাইল। ১৯০৯ সালে বরোটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৫৩০। এর মধ্য ৫০ জন রিপাবলিকান বাকি সবাই ডেমোক্র্যাট। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার অর্থ নির্বাচনে জয়ী হওয়া।
মিলবর্ন সিটির রাজনীতি পুরোটাই এখন নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশিরা। সিটিতে রয়েছে প্রায় ১৪০ জন বাংলাদেশি ভোটার। ১৫০০ বাসিন্দার মধ্যে ৫৫০ জন বাংলাদেশি। আগামী ১৮ মে প্রাইমারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে এবারই মেয়র পদে মাঠে নামেনি কোন অ্যামেরিকান বা ভিন্ন জাতি-গোষ্ঠির কেউ।
এসএন
