চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের ছেলে নায়ক শান্ত খানের সন্দেহজনক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গেলো বুধবার (১৭ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকারের সই করা চিঠিতে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়েছে। ঢালিউডের এ অভিনেতার প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পদের সত্যতা যাচাই করতে ৫৮টি দেশি-বিদেশি ব্যাংকের এমডি ও সিইও’র কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় সেলিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও প্রায় ৬৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর তার ছেলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়।
নায়ক শান্ত খানের ব্যাংক হিসাব তলবের চিঠিতে বলা হয়, শান্ত খানের বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এ অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ব্যাংকগুলোতে তার নিজের ও যৌথ নামে সঞ্চয়ী, চলতি হিসাব, এফডিআর, ডিপিএস ইত্যাদির হিসাব বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম ও কেওয়াইসি পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঋণ হিসাব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য, জামানত ও ঋণ পরিশোধের তথ্য, সঞ্চয়পত্র ও ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য দুদক আইন-২০০৪-এর ধারা ১৯ ও দুদক বিধিমালা-২০০৭-এর বিধি ২০ অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ওইসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ওইসব তথ্য ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি অভিযোগটির অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
দুদকের অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, সেলিম খানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে তার ছেলে মো. শান্ত খানের নামে ব্যবসার পুঁজি, কোম্পানির শেয়ার, জমি ও বাড়ির মূল্য, স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্রসহ মোট ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। যে কারণে তার সম্পদের উৎসের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য পৃথক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
বিআ