মানুষের কষ্ট দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কষ্ট পান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। আর কয়েকটা দিন একটু ধৈর্য ধরুন। বিদ্যুতের সমস্যা আছে, দ্রব্যমূল্যের সমস্যা আছে। তবে আমরা যারা কাজ করি, আমরা কিছু আলোর রেখা দেখছি পূর্ব দিগন্তে। আমার মনে হয় আমরা সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে এসেছি। এগুলো অহেতুক কোনো কথা নয়। আমরা নানা বিষয়ে আশা দেখছি। আমার বিশ্বাস এই মাসটাই আমাদের কষ্টের শেষ মাস। আগামী মাস থেকে আবার স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে যাব। বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
আজ শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে জেলা পরিষদ কর্তৃক ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যারা মাখন ক্রিম খেয়ে অভ্যস্ত কেকের উপরের অংশ কেটে কেটে খায় তারা বাধা দিচ্ছে। তারা তাদের পিতাকে হত্যা করেছিল। কৃষক-শ্রমিকের মঙ্গল ও কল্যাণ চেয়েছিলেন সেই অপবাদে। শেখ হাসিনাকেও তারা হত্যা করতে চায়। মঞ্চ থেকে সরিয়ে ফেলতে চায়। কারণ শেখ হাসিনা প্রত্যেক জাতির যে কোনো ধর্মের মানুষের ন্যায়ের জন্য কাজ করেন।
চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই যারা শ্রমিক, যারা কায়িক শ্রম দেন, হাত-পা দিয়ে কাজ করেন, তাদের প্রতি ন্যায়বিচার যেন হয়। দরিদ্র অবিচারের শিকার। এখানে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে। সরকার এ ব্যাপারে সচেতন আছে। চা-বাগানের যারা মালিক তারা কিছু সুযোগ-সুবিধা দেন। তবে টাকায় নয়, তারা থাকার জায়গা দেন, রেশন দেন, চিকিৎসা দেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যুৎও দেন। আমরা চাই মজুরি, আশা করি ন্যায়বিচারের দিকেই যাচ্ছি। সেখানে পৌঁছায়নি এখনো। তবে পথেই আছি।
জেলা পরিষদের প্রশাসক নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে ও দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহাব রাশেদ, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, যোগেশ্বর দাশ প্রমুখ।