লক্ষীপুর সদর ও কমলনগরে পৃথক ঘটনায় স্কুলছাত্রীসহ দুই তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট থানায় ধর্ষণের আলাদা দু’টি মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ দুই ধর্ষণের ঘটনার মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামী মেহেদী হাসান হৃদয় ও আকরাম হোসেন নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
লক্ষীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার আটিয়াতলী গ্রামে বাবার অসুস্থ্যতায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছিল। এ সুযোগে ঘরে একা পেয়ে শনিবার দিবাগত রাতে লক্ষীপুর টেক্সটাইল ইন্সটিউটের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে স্থানীয় আবুল কালাম আজাদের বখাটে ছেলে হৃদয় ধর্ষণ করে। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় রোববার সকালে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে হৃদয়কে আসামী করে সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
এদিকে কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া এলাকায় শনিবার রাতে ১৭ বছরের এক তরুনীকে নিজ ঘরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে রামগতি উপজেলার আব্দুল বাতেনের ছেলে আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
লক্ষীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান পৃথক দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দুটি নিষ্পত্তি করার কথা জানান তিনি।
এস