দেশ ও জাতির যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অতীতের মতোই দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের হেলমেট অডিটরিয়ামে প্রশংসনীয় ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ বিভিন্ন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের ভাবমূর্তি বাড়িয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জাতি গঠনমূলক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের আপামর জণসাধারণকে প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করে যাচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর সাংবিধানিক দায়িত্ব।
২০১৯/২০২০ সালে শান্তিকালীন বিভিন্ন প্রশংসনীয় ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১২৩ জন সেনাসদস্যকে পদক তুলে দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। মোট ৬টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হয় পদক। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্তদের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। সেনাপ্রধান তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনপূর্বক উল্লেখ করেন যে, ‘এ পদক প্রদান অন্য সেনাসদস্যদেরও সেনাবাহিনী ও দেশের স্বার্থে নিবেদিত হয়ে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করবে।’
এর আগে গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশ ও জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে যথাযথভাবে পরিচালনা করায় এবং বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অসামান্য অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাপ্রধানকেও ‘সেনাবাহিনী পদক’ প্রদান করেন।
এস