বর্তমান বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো নিয়ে গঠিত জোট ব্রিকসে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের প্রতি সক্রিয় সমর্থন থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে চীন।
মঙ্গলবার(৪ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ১৩তম দফার দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক আলোচনায় এ আশ্বাস দেওয়া হয়।
দ্বিপক্ষীয় ওই আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে, চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং আলোচনায় নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় ঢাকা-বেইজিংয়ের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুসংহতকরণ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচার এবং বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতার সুযোগ খুঁজে বের করার ওপর আলোকপাত করা হয়।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা হলো-ব্রিকস।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর নিয়ে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
আলোচনায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনকে তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এবং চীনে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) প্রবেশাধিকারের বিদ্যমান কাঠামো সহজতর করতে চীনের সহায়তা কামনা করেন।
চীনের ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর এবং গত বছরের ব্রিকস সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আলোচনার কথা স্মরণ করেন।
ঢাকা ও বেইজিং দুই দেশের দূতাবাস উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে সান ওয়েইডং উল্লেখ করেন। তিনি উচ্চ পর্যায়ের আদান-প্রদান এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
উভয়পক্ষ দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক আলোচনা আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর//