বরগুনা ছাত্রলীগের ওপর লাঠিপেটার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটি।
আজ সোমবার (২২ আগস্ট ) বিকেলে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ব্যতীত বাকিদের মধ্যে ১ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৩ জন উপ পুলিশ পরিদর্শক, ৪ জন সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক ও ৪ জন নায়েক কনস্টেবল রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চূড়ান্তভাবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তদন্ত কমিটি এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন চাকরি বিধিমালা বহির্ভূত বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ পেয়েছে। যার মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কম-বেশি শাস্তি হতে পারে।
এর আগে ২৪ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলে নতুন কমিটি ও পদবঞ্চিত নেতা কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছিল।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানসহ জেলা পর্যায়ের নেতারা। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা, সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সবুজ মোল্লা তাদের কর্মী ও সমর্থকরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধ শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়।
গেলো মঙ্গলবার আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীকে বরগুনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে প্রথমে বরিশাল রেঞ্জে ডিআইজি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তী আদেশে তাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়। এরপর রাতে ওই ঘটনায় আরও ৫ পুলিশের সদস্যকে বদলি করা হয়।