দেশজুড়ে

বেনজীরের রিসোর্টের মাছ চুরি, হাতেনাতে ধরে ফেলে দুদক

বেনজীরের রিসোর্টের মাছ চুরি, হাতেনাতে ধরে ফেলে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের পুকুর থেকে মাছ চুরির চেষ্টা হয়েছে। আদালতের ক্রোক করা রিসোর্টটির পুকুর থেকে মাছ চুরির এই চেষ্টা ধরে ফেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জব্দ করা হয় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ। এ ঘটনায় রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) গোপন সংবাদ পেয়ে দুদকের গোপালগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয় ভোর ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে মাছগুলো জব্দ করে। দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান চালায়। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বেনজীর আহমেদের ক্রোক ও ফ্রিজকৃত সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রিসোর্টের অভ্যন্তরে পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হওয়ার খবরে গোপালগঞ্জের দুদকের একটি টিম রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে সেখানে মাছ ধরার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে পুকুরে ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া মাছ ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। অন্যদিকে গোপালগঞ্জ দুদক অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়। মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। মাছ পচনশীল বিধায় সেখানে উপস্থিত গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে জব্দ মাছ উপস্থিত মৎস্যজীবীদের মধ্যে নিলামে বিক্রি করে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা সরকারি খাতে জমা দেয়া হয়েছে। এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বেনজীরের | রিসোর্টের | মাছ | চুরি | হাতেনাতে | ধরে | ফেলে | দুদক