আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ধর্ষণের শিকার কিশোরী, টাকার বিনিময়ে রফাদফার চেষ্টা

ধর্ষণের শিকার কিশোরী, টাকার বিনিময়ে রফাদফার চেষ্টা

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে এক কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে এই কিশোরী  সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিঠু পলাতক রয়েছেন।

মিঠু উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের হাসেম প্রধানের ছেলে। মিঠু বিবাহিত। এ ছাড়া তার দুই সন্তান রয়েছে।

ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাত মাস আগে মিঠু তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওইসব কথা কারও কাছে প্রকাশ করলে ওই কিশোরীকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় মিঠু। তাই ভয়ে ওই কিশোরী কাউকে বলেনি।

কিশোরীর শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হলে তার মায়ের মনে সন্দেহ হয়। পরে তাকে মেডিকেল চেকআপ করালে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এ ঘটনায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ভিকটিমের মা। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনসহ অভিযুক্তের পরিবারকে জানিয়েছেন।

এদিকে  মিঠুর এক আত্মীয় প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ধামচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং ভিকটিমের মাকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।

কিশোরীর মা বলেন, ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। কয়েক দিন আগে আমার মেয়ের বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়েছে। মানিক ও জামালসহ গ্রাম্য সালিশকারীরা দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফার চেষ্টা করে। আর মেয়ের পেটের বাচ্চা মেরে ফেলতে বলেছে। এখন আমরা কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।

জামাল প্রধান বলেন, ঘটনার ব্যাপারে মিঠু স্বীকারোক্তি দেয়ার পর আমি ও মানিক প্রধানসহ গ্রামের লোকজন নিয়ে কিশোরীর বিষয় বিবেচনা করে তাকে চিকিৎসা ও ভরণপোষণের জন্য দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছি। বর্তমানে মিঠু প্রবাসে আছে। সে দেশে এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল জানান, ভিকটিম লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ধর্ষণের | শিকার | কিশোরী | টাকার | বিনিময়ে | রফাদফার | চেষ্টা