গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলা শুরুর আট মাস পেরিয়ে গেছে। এর পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ইসরাইলের বিভিন্ন শহরগুলোয় বিক্ষোভ হয়ে আসছে। জিম্মিদের মুক্তির জন্য দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবিতে ইসরাইলের তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজারো ইসরাইলি। বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলি পতাকা হাতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
শনিবার (২২ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলে নতুন নির্বাচন এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির সদর দপ্তরের কাছে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ধর পাকড় চালিয়ে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে তেল আবিবের গণতন্ত্র চত্বরে বিক্ষোভকারীদের অনেকে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এর আগে সেখানকার মাটি লাল রং করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, নেতানিয়াহুর হাতে আজ ইসরাইলের গণতন্ত্র এভাবেই হত্যার শিকার হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতে তেল আবিবের রাজপথে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করেন হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের হাজারো স্বজন ও সমর্থক। বিক্ষোভে তারা হামাসের হাতি জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালানোর সময় গুলিতে আহত এক ব্যক্তিকে জিপ গাড়ির সামনে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রোববার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে গুলিতে আহত এক ফিলিস্তিনিকে একটি সামরিক যানের সামনে বেঁধে গাড়ি চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
বর্বর এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযানের সময় গুলি বিনিময়ে ওই ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন।