নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় দিন-দুপুরে সুরুজ মিয়া নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার দুই ছেলেসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্য আহতরা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর এলাকার আলীপাড়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন।
আহতরা হলেন- সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০)। অন্য দুজন অটোরিকশাচালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।
নিহত ও আহতের স্বজনরা গণমাধ্যমে জানান, উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামে তাদের অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এছাড়া সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে সকালে চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সেই লোক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে সালু ও হিরাকে শাসন করেন সুরুজ মিয়া।
স্বজনরা আরও জানান, শাসন এর জের ধরে আলীপাড়া মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু ও হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম গণমাধ্যমে জানান, বালু সিমেন্ট ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সন্ত্রাসী সাল্লু ও তার বাহিনী হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া ও তার ছেলেসহ চার জনকে কুপিয়ে জখম করে। সুরুজ মিয়া ঢামেকে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, সাল্লু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আরও অভিযোগ রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এএম/