মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে আল-কায়েদার হামলায় ২৭ জন মারা গেছে। নিহতদের ২১ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা। বাকি ছয় জন আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখার সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) ইয়েমেনের সরকারী সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান প্রদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেয়া প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি বেল্ট নামক একটি গ্রুপের বিভিন্ন অবস্থানে হামলা করে।
আল-কায়েদা ছয় মাসেরও বেশি সময় আগে ওই প্রদেশে অপহরণ করা জাতিসংঘের একজন কর্মীর একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ করে। আর সেই ঘটনার কয়েকদিন পরেই এই সহিংসতা ঘটলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইয়েমেনের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ওই লড়াই প্রায় তিন ঘণ্টা চলে। এতে কর্মকর্তাসহ (সিকিউরিটি বেল্ট) এর ২১ জন এবং ছয় জন আল-কায়েদা যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত সেই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকট আরো তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। আর উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে হুতি বিদ্রোহীরা।
কেএস
