আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না দেয়ায় মমতার ক্ষোভ

শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না দেয়ায় মমতার ক্ষোভ

গেলো সোমবার ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সফরে মোদিরর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কেন ডাকা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র- ভারতীয় গণমাধ্যম।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো। এই প্রথম দেখলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এলেন কিন্তু বাংলা বাদ।

এর পরে অতীতের কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে মমতা অভিযোগ তোলেন, শিকাগো থেকে আমন্ত্রণ পেলেও তাঁকে আটকে দেয় কেন্দ্র। চিনে যেতে দেয়নি। এ নিয়ে তাঁর যে কোনও আক্ষেপ নেই তা বুঝিয়ে মমতা বলেন, ‘বাংলায় ঘুরলেই সারা বিশ্বে ঘোরা হয়ে যাবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বোঝাতে চান, পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করেছে নয়াদিল্লি।

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের জেলার নেতাদের নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি সভা ছিল। সেখান থেকে সুর চড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে বাংলাকেই বাদ দেওয়া হল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‌হাসিনাজি নিজেই আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন’‌। সুতরাং এই সাক্ষাৎ না হওয়ার জন্য মাঝে দেওয়াল হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বলেই ইঙ্গিত মমতার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌হাসিনাজি নয়াদিল্লিতে এসেছেন। আমার সঙ্গে ওনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। দুর্গাপুজোর সময়ে আমি ওনাকে চিঠি দিই। উনি আমাকে শাড়ি পাঠান। আম পাঠান, কখনও ইলিশ পাঠান। আমি শুনেছি, উনি এই সফরে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু দিল্লি তা শোনেনি।

ভারত-বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ। তাই কূটনৈতিক সম্পর্কও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আবার বড় ভূমিকা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এমনকী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থেকে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক—বাংলা ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। আবার নিরাপত্তার বিষয়ও এখানে জড়িয়ে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা এখনও হয়নি। তার জেরে বাইরের দেশের কাছে খারাপ বার্তা গেল ভারত নিয়ে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শেখ | হাসিনার | সঙ্গে | সাক্ষাৎ | করতে | দেয়ায় | মমতার | ক্ষোভ