আন্তর্জাতিক

ভোজ্যতেলে দূষণ কেলেঙ্কারি নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড়

ভোজ্যতেলে দূষণ কেলেঙ্কারি নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড়
এ মুহূর্তে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় হয়ে আছে ভোজ্যতেলে দূষণ কেলেঙ্কারি নিয়ে। দূষণমুক্ত না করেই জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকার ট্রাকে ভোজ্যতেল পরিবহনের ঘটনা নিয়ে দেশটির যোগাযোগামাধ্যম ওয়েইবোতে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। গেলো কয়েক দিন ধরে চীনের লাখ লাখ নেটিজেন এ ইস্যুতে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চীনের বেশ কিছু ভোজ্যতেল কোম্পানির বিরুদ্ধে কয়লা ও জ্বালানি তেল বহনকারী ট্রাকে ভোজ্যতেল পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এগুলো হলো সিনোগ্রেইন, হোপফুল গ্রেইন এবং অয়েল গ্রুপ। চীনে অবশ্য এ ব্যাপারটি নতুন নয়। দেশটির ট্যাংকার জাহাজ ও ট্রাকগুলো জ্বালানি তেলের পাশাপাশি তরল খাদ্যবস্তুও পরিবহন করে। তবে নেটিজেনদের অভিযোগ— ভোজ্যতেল পরিবহনের আগে ট্রাকগুলোকে ঠিকমতো পরিষ্কার ও দুষণমুক্ত করা হয়নি। এক নেটিজেন তার পোস্টে লিখেছেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা এই বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।’ তার এই কমেন্টে ‘লাইক’ দিয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি ওয়েইবো ব্যবহারকারী। আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ এবং আমি বাঁচতে চাই। আর এ জন্য প্রয়োজন দূষণমুক্ত খাদ্য।’ এদিকে দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যেই গতকাল বুধবার (০৯ জুলাই) এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে চীনের সরকার। তদন্তে যারা দোষী হিসেবে প্রমাণিত হবে, তাদের যথাযথ সাজার ঘোষণাও দিয়েছে বেইজিং। এর আগে ২০০৮ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি সানলুর গুঁড়াদুধ পানে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল প্রায় ৩ লাখ শিশু; তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গিয়েছিল। কোম্পানির ওই গুঁড়াদুধ পরীক্ষার পর সেখানে উচ্চমাত্রার রাসায়নিক পদার্থ মেলামিনের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। পরে তদন্তে জানা জায়, মেলামিন পরিবহনের জন্য যেসব ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো ঠিকমতো দুষণমুক্ত না করেই পরে গুঁড়াদুধ পরিবহনে কাজে লাগানো হয়েছিল।   এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভোজ্যতেলে | দূষণ | কেলেঙ্কারি | নিয়ে | চীনের | সামাজিক | যোগাযোগমাধ্যমে | তোলপাড়