আমি রায়পুরা-নরসিংদীসহ বাংলাদেশে কোথাও কোনো দুর্নীতি করি নাই। যদি দুর্নীতি করে থাকি, তাহলে আইন আছে। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। তার মাধ্যমে আমার বিচার হবে। আমি সব বিচার মাথা পেতে নেব। বললেন, ছাগলকাণ্ডে আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের প্রথম স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।
গেলো শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মিজার্নগর ইউনিয়নের বাঙালিনগর মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লাকী এসব কথা বলেন।
এ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, তিনি ঢাকা ইউনিভার্সির ছাত্রী ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের নেত্রী ছিলেন। সরকারি চাকরি করেছেন। কোনো অন্যায় করেননি। হুট করে এখানে (রায়পুরা) এসে রাজনীতি করেন নাই। আগেও নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। সেখানে দলীয় প্রতীক (নৌকা) না পাওয়ায় নির্বাচন করেননি। সে সময় অনেকে অনেক কথা বলেছে কিন্তু তিনি কোন লোভে পড়েননি। এর প্রেক্ষিতেই তাকে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করা হয়।
তিনি বলেন, নরসিংদীবাসী পাশে থাকলে তাকে কোনো ষড়যন্ত্র ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। জনগণ সুযোগ দিলে নির্বাচিত হয়ে সেবা করে যাবেন। তিনি সেবক হতে চান, শোষক হতে চান না। জনগণ যদি আবার সুযোগ দেন,তিনি কথা দিচ্ছেন সারাজীবন জনগণের পাশে থেকে সেবা করে যাবেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের চাকরি ছেড়ে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন লায়লা কানিজ লাকী। ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। পরে ওই শূন্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লায়লা কানিজ লাকী।
আই/এ